বিয়ে করা স্বামী যে একজন নারী তা বোঝা গেল ১০ মাস পরে !
Symbolic image from pexels.com
নেট দুনিয়ায় একটি মজার খবর ভাইরাল হয়েছে। সে খবরের শিরোনামগুলো এরকম-১০ মাস পর স্ত্রী বুঝলেন, তার স্বামী আসলে নারী, ১০ মাসেও স্ত্রী বুঝলেন না, তার স্বামী আসলে নারী, ১০ মাস পর জানলেন স্বামী আসলে 'নারী', বিয়ের দশ মাস পর জানলেন স্ত্রী, 'স্বামী আসলে নারী', বিয়ের আট বছর পর স্ত্রী জানলেন স্বামী আসলে 'নারী'।
বিয়ের ১০ মাস পরে, এক তরুণী অনেক এনকাউন্টার পরে জানতে পারে যে তার স্বামী আসলে একজন মহিলা। ইন্দোনেশিয়ার ওই তরুণী এন এ নামে পরিচিত। তার বয়স ২২ বছর। তার ছদ্মবেশী স্বামী নিজেকে আহনাফ আরাফিক বলে পরিচয় দেয় এবং নিউইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউরোলজি অধ্যয়ন করেছে বলে দাবি করেছে।
এন এ এবং আহনাফের প্রথম দেখা হয়েছিল একটি ডেটিং অ্যাপে। এন এ এবং আহনাফ সম্পর্কে থাকার পরে সরাসরি দেখা হয়েছিল এবং তারা ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি শহরে এক সপ্তাহ থেকেছেন। সেই সময় এন এর বাবা-মা ভালো ছিলেন না এবং তারা তার যত্ন নেন।
ট্রিবিউন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ ডেটিং করার পর এন এ-র বাবা-মায়ের সম্মতিতে তারা বিয়ে করেন। চার মাসের মধ্যে, এন এ-র পরিবার প্রতারক স্বামীকে সন্দেহ করে। আহনাফ নিজের পারিবারিক কথা গোপন রেখে নিজেকে একজন দক্ষ চিকিৎসক বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে এন এ-র মা আহনাফের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতেন। দেখা গেল, আহনাফ বাড়িতে সব সময় সারা শরীর ঢেকে রাখে। তারপর একদিন এন এ লক্ষ্য করল তার স্বামীর স্তন আকারে একটু বড়। তখন আহনাফ বলেন, এটা তার হরমোনের সমস্যা।
Symbolic image from pexels.com
একদিন আহনাফের শাশুড়ি তাকে একটি কঠিন কাজের চ্যালেঞ্জ করলেন। আহনাফকে প্রমাণ করতে হবে সে আসলেই মানুষ কিনা। এরপর তিনি সত্য স্বীকার করেন। আহনাফ বলেন, তিনি একজন নারী। তার নাম ইরানি। তার শিক্ষা ও পেশা নিয়েও মিথ্যাচার করেছেন।
পরে জাম্বি জেলা আদালতে প্রতারণার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। এন এ বলেছেন যে তিনি কখনই ভাবেননি যে তার স্বামী একজন মহিলা। তার মা তাকে সন্দেহ করার পর সে বিষয়টি বুঝতে পারে।
এন এ জানায়, পরিচয়ের পর থেকে আহনাফ তার কাছ থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা চুরি করেছে। তাকে নদীতে ঝাঁপ দিতেও বলা হয়। এন এ অনুসারে, তাকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এন এ কেন বুঝতে পারলেন না যে ছদ্মবেশী স্বামী আসলে একজন মহিলা। জবাবে তিনি বলেন, সহবাসের আগে তার স্বামী রুমের আলো নিভিয়ে দিতেন এবং তার (এনএ) চোখ বেঁধে দিতেন।
তিনি আরও বলেন, তারা অনেকবার ঘনিষ্ঠভাবে এসেছেন। কিন্তু সব সময় তার স্বামী শুধু হাত ব্যবহার করতেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল, জিও নিউজ
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments