বিয়ে ১০৭, বউ ৯৭, ডিভোর্স ১০
মোহাম্মদ বেলো আবু
বাকার, ৯২ বছর বয়স্ক নাইজেরিয়ার নাগরিক। দুর্নাম হোক, আর সুনামই হোক, একটার পর
একটা বিয়ে করে তিনি বেশ নাম কুড়িয়েছেন। এবং মোটেও এক দুই বিশ কিংবা ত্রিশ নয়, বিয়ে
করেছেন ১০৭ জন নারীকে।
বর্তমানে তার ঘরে বউ
আছে ৯৭ জন। বাকি ১০ নারীকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে এই মুহূর্তে তার কোনো
সম্পর্কই নেই। র্যেহেতু নাম কুড়িয়েছেন তিনি ব্যাপক, সেহেতু লুকিয়ে বা গোপনে কোনো কাজ করতে পারেন না। যাই করেন, তাই ফাঁস হয়ে যায় মিডিয়ার কল্যাণে। অতি সম্প্রতি তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এই কথা কানে যাওয়া মাত্র পুরানো (মিডিয়া) বন্ধুদের শরণাপন্ন হন। তারা তার এই গল্পটিও ছাপায় আগের গুলোর মতো গুরুত্বসহকারে।
সম্পর্কই নেই। র্যেহেতু নাম কুড়িয়েছেন তিনি ব্যাপক, সেহেতু লুকিয়ে বা গোপনে কোনো কাজ করতে পারেন না। যাই করেন, তাই ফাঁস হয়ে যায় মিডিয়ার কল্যাণে। অতি সম্প্রতি তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এই কথা কানে যাওয়া মাত্র পুরানো (মিডিয়া) বন্ধুদের শরণাপন্ন হন। তারা তার এই গল্পটিও ছাপায় আগের গুলোর মতো গুরুত্বসহকারে।
পুরানো বন্ধুদের তিনি
বলেন, ৯২ বছর বয়সেও তিনি খুব ভালোভাবে বেঁচে আছেন। সেই সঙ্গে আরো কয়েকটি বিয়ে
করারও পরিকল্পনা করছেন।
নাইজেরিয়ার নাইজার
প্রদেশের বিদা শহরে তার বাড়ি। সেখানে কেটেছে তার ছেলেবেলা, কৈশোর, যৌবন ও এখন
কাটছে বৃদ্ধকাল। পুরো শহরের লোকজন তাকে এক নামেই চেনে। তার নামে কোনো চিঠি আসলেই
হলো, ঠিকানার প্রয়োজন পড়ে না। রীতিমতো পরিচিত ব্যক্তি। বিতর্কিত তো বটেই। তার
ভাষায়, আল্লাহর রহমত পেয়ে সেখানেই বিয়ে করেন একশরও বেশি নারীকে।
তার সুনির্দিষ্ট কোনো
আয় নেই। এ নিয়ে তার কোনো ভাবনাও নেই।
তার মৃত্যুর কথা নাকচ
করতে গিয়ে বেলো আবু বাকার বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধুরা, আমি খুব ভালোভাবেই বেচেঁ
আছি।’
মৃত্যুর খবরকে
পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, আল্লাহ তৌফিক দিয়েছেন বলেই তার
পক্ষে এতগুলো বিয়ে করা সম্ভব হয়ছে।’
এতগুলো বিয়ে করায়
তিনি যে ঝামেলায় পড়েননি তা নয়। একবার তো বড় ধরনের ঝামেলায় পড়েন স্থানীয় ধর্মীয়
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ২০০৮ সালে। তখন তার ছিল ৮৬ পত্মী। সেই সময়েই সাংবাদিকদের তিনি
সাক্ষাৎকার দেন। সে সময় সাংবাদিকরা তার কছে গিয়েছিল তার অস্বাভাবিক জীবনের কথা
শুনতে। ছবির মাধ্যমে জীবনের কথা তুলে ধরতে।
মুসলিম চিন্তাবিদরা
একমত যে, দেখভাল করতে সক্ষম যেকোনো মুসলমান চারটি বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু তা
মানতে নারাজ বেলো আবু বাকার।
২০০৮ সালের শেষদিকে
বেলো আবু বাকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিদা শহরের আমির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে,
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে তিনি উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন।
আদালত ২০০৮ সালের
নভেম্বরে আবু বাকারকে শর্ত সাপেক্ষ ছেড়ে দেয়। শর্তটি হলো তার ৮৬ স্ত্রীর মধ্যে
চারটি রেখে ৮২ পত্মীকে ছেড়ে দিতে হবে।
লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন,
প্লিজ।
নতুন পোষ্টের আপডেট
পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন।
No comments