Dear visitor, welcome to my world hot events blog. Hope, see you again- thank you.

এক তালায় চার হাজার চাবি - World Hot Events.

Header Ads

এক তালায় চার হাজার চাবি


প্রবাদ আছে গৃহস্থের গরু তালাবদ্ধ ঘরে রাখলেও আটকে রাখা যায় না। চোর তালা ভেঙে গরু নিয়ে যেতে পারে। তেমনি মানুষের মনও আবদ্ধ করে রাখা যায় না। যার প্রতি প্রাণের টান মন তার কাছে ছুটে যাবেই। প্রেমের বন্ধন অনেক দিন অটুট রাখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নদীর ওপর, ব্রিজের পিলারে তালা মেরে
চিরস্মরণীয় করে রাখা আছে। আবার অনেক শহরের আড্ডা খানায় প্রেমিক-প্রেমিকার জুটি তালা লাগানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত আছেন।
তেমনই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে প্রায় চার হাজারেরও বেশি চাবি সংরক্ষিত রয়েছে একটি তালার ভেতর। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে শুরু করে হাইকোর্ট বিভাগ এবং পুরাতন হাইকোর্ট ভবন, আইনজীবী সমিতি ভবন, অতিরিক্ত (অ্যানেক্স) ভবনসহ প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্ট শাখার বিচারপতি, রেজিস্ট্রারগণ, নেজারত এবং বিভিন্ন শাখার সব চাবি এই একটি তালার ভেতর আবদ্ধ থাকে।
সেখান থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় চাবি বিতরণ শুরু করে চলে সারাদিন। আবার প্রতিদিনি বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব চাবি জমা করা হয়। তারপর সব চাবি এক সঙ্গে তালাবদ্ধ করে প্রায় ১০ ফুট উচু ও পাঁচ ফুট চওড়া এই একশ কেজি ওজনের তালার ভেতরে রাখা হয়।
চাবিগুলো জমা দেয়া হয় এখানে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ব্যক্তিদের নিকট। এখানে শিফট অনুযায়ী তিনজন পর্যায়ক্রমে (ডিউটি) দায়িত্ব পালন করে। তারা হলেন রাসেল আহমেদ (২), আরশাদুল আলম (বুলবুল) এবং দিলিপ কুমার দাস। এছাড়া এখানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন মো. খোকন কাজী। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের গোঁসাইরহাটে।
খোকন জানান, সম্ভত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তালা এটি। একশ কেজি ওজনের এই তালার ভেতরে চার হাজার চাবি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এই তালার (আলমারির) ভেতরের চাবির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন যারা তাদেরকে তদারকি করেন। শিডিউল নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন রাসেল আহমেদ, আরশাদুল আলম (বুলবুল) এবং দিলিপ কুমার দাস।
বরিশালের পিরোজপুর জেলার সন্তান দিলিপ কুমার দাস বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের নিচতলার ‘চাবি গেট’ সংলগ্ন বিশাল আকৃতির ধাতব তালাটির দায়িত্বে রয়েছেন। বিশাল আকৃতির ধাতব তালাটিকে যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখেন তিনজন মিলে।
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের অধিবাসী রাসেল জানান, দেখতে তালার মতো হলেও এটি আসলে একটি আলমারি। এর ভেতরে সুপ্রিম কোর্টের মূল পুরাতন এবং এনেক্স ভবনের কোর্ট ও অফিস কক্ষের কয়েক হাজার হাজার চাবি সংরক্ষিত থাকে।
তিনি বলেন, এখানে যারা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন তাদের নিকট থেকে সকাল ৯টার মধ্যেই চাবি বুঝে নেয়া শুরু হয়। আবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চাবি জমা দিয়ে যান সংশ্লিষ্টরা। আমরা এই বিশাল তালার মধ্যে সারিবদ্ধভাবে চাবিগুলো সাজিয়ে রাখি।
সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকা খোকন কাজী বলেন, সব সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করি যাতে নির্দিষ্ট কোর্ট কক্ষের চাবি ঠিকভাবে দেয়া যায়।
সারাদিন এই বিশাল তালার পাশে বসে চাবির পাহারায় নিয়োজিত থাকার অনুভূতি জানতে চাইলে দিলিপ কুমার দাস বলেন, খারাপ লাগে না। সময় কেটে যায় গল্প করে এবং চাবি জমা দিতে নিতেই।          
            লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন, প্লিজ।
নতুন পোষ্টের আপডেট পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি এখানে



No comments

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.