Dear visitor, welcome to my world hot events blog. Hope, see you again- thank you.

মাকে কাঁধে নিয়ে ৬৫ কি মি. হেঁটে বাংলাদেশে পৌঁছান জাফর! - World Hot Events.

Header Ads

মাকে কাঁধে নিয়ে ৬৫ কি মি. হেঁটে বাংলাদেশে পৌঁছান জাফর!



মাকে কাঁধে নিয়ে ৬৫ কি মি. হেঁটে বাংলাদেশে পৌঁছান জাফর!৮০ বছরের মাকে কাঁধে নিয়ে ৬৫ কিলোমিটার হেঁটে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে
পৌঁছেন জাফর।
চার পাশে শুধুই গোলাগুলি আর ভারি অস্ত্রের ঝনঝনানি। যতদূর দেখা যায় ততদূর শুধু আগুনের লেলিহান শিখা আর আকাশ অন্ধকার করা কালো ধোঁয়া। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ আর নির্যাতন থেকে বাঁচতে যে দিকে পারছে প্রাণ
হাতে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু রাখাইন রাজ্যের বলিবাজার গ্রামের জাফর আলমের বাড়িতে অসুস্থ মা। কী করবেন, কোথায় যাবেন, সেটাই তিনি ভেবে পাচ্ছিলেন না। কোনো উপায় না দেখে সব সহায় সম্পদ ফেলে মা আছিয়া খাতুনকে কাঁধে তুলে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন জাফর। প্রাণের ভয়ে কয়েক দিন রাখাইন রাজ্যের এদিক ওদিক ছুটে একপর্যায়ে

অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে ঢোকার সুযোগ পান। অবশেষে ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছান জাফর। তাদের ঠাঁই হয় উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। জাফরের বয়স ত্রিশের কাছাকাছি। বুধবার বিকালে নিজের মাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে আসার দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা জানান জাফর আলম। জাফর আলম জানান, তার মায়ের নাম আছিয়া খাতুন। বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। অসুস্থতার কারণে কথা বলতে পারেন না খুব একটা। বৃদ্ধার দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে জাফরই সবার ছোট।
    মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে জাফর বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো-ম্যানসল্যান্ড থেকে রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত তার গ্রামের বাড়ি বলিবাজারের সঠিক দূরত্ব আমার জানা নেই। তবে লোকের মুখে শুনেছি সীমান্ত থেকে বলিবাজারের দূরত্ব ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার হবে। হেঁটে গেলে দু’দিন লাগে। আঁকা-বাঁকা পথ, বেশির ভাগ এলাকায় যানবাহন নেই। যতটুকু রাস্তায় যানবাহন চলাচল করত, তাও এখন বন্ধ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়াও পথে পথে চেকপোস্ট। এ কারণে বিকল্প পথ হিসেবে পাহাড়-জঙ্গল পাড়ি দিয়ে আসতে হয়েছে আমাদের। এজন্য সময় লেগেছে পাঁচ দিন।’
    তিনি আরও বলেন, ‘এতদিনের এই দৌড়ঝাঁপের কারণে আমার মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনাহারে অর্ধাহারে সঙ্গে থাকা অন্যদের সহযোগিতায় কোনো মতে নো-ম্যানসল্যান্ডে পৌঁছেছি। সেখানে একদিন অবস্থান নেয়ার পর ৫ সেপ্টেম্বর কুতুপালং অনিবন্ধিত ক্যাম্পের বস্তিতে উঠি। তবে মায়ের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে আবারও কাঁধে নিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পের ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে আসি। এত মানুষের ভিড়ে কবে ডাক্তারের দেখা পাব জানি না।’

সম্মানিত পাঠক, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু দিয়ে সাজানো আমার নিজের সাইট ও চ্যানেলগুলো একবার ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইলো:

জানতেচাই, জানাতেচাই ;Learn and Earn ; Youtube Educare Channel, Educare Channel ; Facebook;  Twitter


তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর

No comments

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.