কেন যুবতীর চেয়ে সেক্সডলের কদর বেশি?
প্রকৃত
যুবতীর চেয়ে খদ্দেরদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ‘ফ্যানি’। সে একটি সেক্স ডল। ব্যবহার
করা হচ্ছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে অবস্থিত নিষিদ্ধপল্লী কোনতাকথোফে। জুলাইয়ে যখন ফ্যানিকে
ওই নিষিদ্ধপল্লীতে ছাড়া হলো তখন তা সারাবিশ্বে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। দ্রুত খদ্দেরদের
কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্যানি। প্রতি ঘন্টায় তাকে ব্যবহার করতে একজন খদ্দেরকে পরিশোধ
করতে হয় ৮০ ইউরো। তারপরও ফ্যানির চাহিদা ব্যাপক। একটানা
কয়েকদিন
তাকে বুকিং দিয়েছেন খদ্দেররা। সিডিউলে কোনো ফাঁক নেই। ফলে খদ্দেরদের চাহিদা মেটাতে
হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় আরেকটি সেক্স ডল কিনেছে। প্রথম যে সেক্সডল
ফ্যানি আছে সেখানে তার উচ্চতা ৫ ফুট এক ইঞ্চি। ওজন ৬ স্টোন। তার আছে লম্বা স্বর্ণালী
চুল ও আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন। তার দিকে সুঠাম দেহের, আকর্ষণীয় কোনো পুরুষের চোখ পড়লে
আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি। নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডলের এমন জনপ্রিয়তা দেখে অস্ট্রিয়ার অন্য
নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্সডল চালু হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, মানুষের স্থান কি তবে সেক্সডল
নিয়ে নিচ্ছে! এ নিয়ে অনেক বিতর্ক। অনেক সমালোচনা। অনেক কথা। কেউ পক্ষে বলছেন। কেউ বিপক্ষে।
কেউ বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে নারী-পুরুষের পারস্পরিক বন্ধন শিথিল হতে থাকবে।
এক
সময় নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ থাকবে না। কেউ বলছেন, নিষিদ্ধপল্লীতে নারীর ওপর যে
নির্যাতন হয় তা থেকে তাদেরকে রেহাই দিতে সেক্সডলের বিকল্প নেই। তাছাড়া যে হারে ধর্ষণ
ও যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধ ঘটছে তা থেকেও মুক্তির একটি মাধ্যম হতে পারে সেক্সডল। ভিয়েনাতে
দুটি নিষিদ্ধপল্লী চালান পিটার লাককারিস। জাপানের জীবিত মানুষের মতো দেখতে সেক্সডলের
দাম ৭০০০ ইউরো পর্যন্ত। এটা এ ব্যবসায় একটি আগ্রহের স্থান করে নিয়েছে। এখন অন্য নিষিদ্ধপল্লীও
এদিকে ধাবিত হচ্ছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেক্সডলের প্রতি ক্রমাগত
আসক্তি বাড়ছে একশ্রেণির মানুষের। তারা চায়, নিষিদ্ধপল্লীতে আরো সেক্সডল চালু করা হোক।
প্রকৃত একজন যুবতীর পরিবর্তে সেক্সডল ফ্যানির সঙ্গে কেন অধিক সংখ্যক পুরুষ শয্যাসঙ্গী
হতে আগ্রহী তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মনোবিজ্ঞানী গেরতি সেঙ্গার। তিনি বলেন, একটি সেক্সডলের
সঙ্গে যা খুশি তাই করতে পারেন পুরষ। দ্বিতীয় কারণ হলো, যেকোনো সময় তা ব্যবহার করতে
পারেন। তবে প্রকৃত নারীর চেয়ে সেক্সডল ফ্যানির এত জনপ্রিয়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন
গেরতি সেঙ্গার। তিনি পুরুষের এমন প্রবণতাকে বাস্তব অটিস্টিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। গেরতি
সেঙ্গার অস্ট্রিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল রিসার্স-এর সহ সভাপতিও।
সম্মানিত পাঠক, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু দিয়ে সাজানো আমার নিজের সাইট ও চ্যানেলগুলো একবার ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইলো:
জানতে চাই, জানাতে চাই ; World Hot Events ; Learn and Earn ; Youtube Educare Channel ;Educare Channel ; Facebook; Twitter
সূত্র:
দৈনিক মানবজমিন
No comments